ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে একজন ব্যবসায়ী ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে অল্প সময়ে ব্যবসার প্রচার, প্রসার করার মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারে। আর ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্যবসার জন্যে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ।

অনলাইন ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং-র অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কম খরচে অনেক মানুষের নিকট ব্যবসা বা পণ্যের মার্কেটিং, সম্ভাব্য গ্রাহক টার্গেট, নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়িয়ে সারা দেশে পণ্য বিক্রির সুবিধা। কোন দোকান বা শো-রুম লাগে না। সফল মার্কেটিং-র দ্বারা ধাপে ধাপে ব্যবসা বড় করার সুবিধা।

আজকের সম্পূর্ণ  আর্টিকেলে আলোচনা করবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা, গুরুত্ত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তাই আপনি যদি একজন E-commerce/F-commerce অথবা অনলাইন ব্যবসায়ী হন, এবং কম খরচ ও সহজেই পণ্য/সার্ভিসের মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে এই ব্লগ পোস্ট আপনার জন্য।

আরো জানতে পারবেন, দেশের সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস/সেবা কোত্থেকে পাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উল্লেখযোগ্য ৫টি সুবিধা ও লাভঃ

প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও লাভ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

অনলাইন ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর রয়েছে বিস্তর সুবিধা যেমনঃ

  1. খুব সহজেই সম্ভাব্য ভোক্তা (টার্গেটেড অডিয়েন্স) খুজে পাওয়ার সুবিধা।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধাই হচ্ছে খুব সহজে এবং দ্রুত আপনার টার্গেটেড কাস্টোমার/ভোক্তার কাছে পণ্য বা সার্ভিস পৌঁছে দেয়া যায়। এর ফলে খুব অল্প সময়ে আপনার ব্যবসার প্রসার এবং অধিক পরিমাণে প্রোফিট পাওয়া যায়।

  1. অল্প খরচে অধিক প্রফিটেবল মার্কেটিং পরিকল্পনার সুবিধা।

আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপণ বা প্রচারের জন্য কম বেশি খরচ করতেই হবে, যেনো সাম্ভাব্য গ্রাহকদের নিকট প্রোডাক্ট বিক্রি করা সহজ হয়। সেটা হোক কোন নতুন, ছোট ব্যবসা কিংবা বড় কোন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান।

 টিভি, খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন, রেডিওতে বিজ্ঞাপণের জন্য যে পরিমাণে খরচ করতে হয়, সেই তুলনাই অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক কম খরচেই আপনার কোম্পানি/পণ্যের প্রচার করতে পারবেন। এর চেয়ে বড় লাভ হচ্ছে এমন অল্প খরচে তুলনামূলক অধিক গ্রাহকের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন ও সেল করা যায়।

ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে একবার কোন বিজ্ঞাপণ দিলে তা হারানোর ভয় থাকে না। তাই বার বার কন্টেন্ট তৈরি করতে হয় না। ফলে এক কন্টেন্টেই বছরের পর বছর নতুন গ্রাহক তৈরি হওয়ার সুবিধা।

  1. বিজনেসে স্কেলিং বা বড় করার সুবিধা 

টিভিতে বা নিউজ পেপারে বিজ্ঞাপণ দিলে তা সঠিক টাইমে টার্গেটেড গ্রাহকদের নিকট পৌছাই না, এবং ব্যবসায়ীগণ জানতে পারে না ঠিক কত সংখ্যক গ্রাহক বা দর্শক তার বিজ্ঞাপণ দেখেছে,  ফলে খরচের তুলনাই লাভের অংশ কম হয়।

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রফিটেবল। কারণ, বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়াই বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনলাইন মার্কেটিং করে খুব কম সময়ে একসাথে প্রচুর দর্শক ও সম্ভাব্য গ্রাহকের নিকট আপনার পণ্য বা সার্ভিস পৌছে দেয়ার মাধ্যমে আস্তে আস্তে বড় করতে পারবেন।

  1. Physical কোন দোকান/শোরুম/স্টোর থাকার প্রয়োজন নেইঃ

মজার ব্যপার হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ দৃশ্যমান কোন দোকান, শো-রুমের প্রয়োজনই পরে না। আপনার ব্যবসার সকল সামগ্রী যেকোন জায়গায় স্টক করে অনলাইনের সাহায্যে সারা দেশের যেকোন স্থানে পৌঁছে দিতে পারবেন।

  1. খুব কম পুজি দিয়ে শুরু করতে পারবেনঃ

বর্তমান সময়ে যেকোন খুদ্র উদ্দ্যক্তার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং আশীর্বাদ সরূপ। কেননা অফলাইনে প্রচলিত মার্কেটিং এর জন্যে গুণতে হয় মোটা অংকের টাকা, এবং নানা রকমের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু অল্প পুজি দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে খুব কম খরচে আপনার ব্যবসা/পণ্যের মার্কেটিং করে উন্নতি করতে পারবেন।

ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান সময়ে সকল প্রকার কাজের পাশাপাশি প্রচার ও প্রচারণার কাজে ব্যবহার হচ্ছে ইন্টারনেট, আর এক কথায় এই নেটের সাহায্যে কোম্পানি বা ব্যবসার প্রচার ও প্রচারণার কাজকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। e-commerce/f-commerce কিংবা অনলাইনে যেকোন ব্যবসার প্রচার, প্রসার ও উন্নতির জন্যে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্ত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। তার মাঝে ৫টি উল্লেখযোগ্য বিষয় যেমনঃ

  1. খুব সহজে এবং দ্রুত ব্যবসার প্রচার, প্রসার করা সম্ভব
  2. পণ্য বা সার্ভিসের সম্ভাব্য গ্রাহক টার্গেট করে মার্কেটিং এর সুবিধা
  3. সঠিক কাস্টমার টার্গেট করার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিক্রয় বাড়ানোর সুযোগ
  4.  ছোট ব্যবসাকে ধাপে ধাপে বড় করতে সাহায্য করে
  5. খুব সহজে কোম্পানি বা পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা যায়।

তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার অনলাইন ব্যবসার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারবেন খুব অল্প সময়ে।

অনলাইন ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কতোটুকু প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্ত্বপূর্ণ, আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন।

E-Commerce/F-Commerce Business এর জন্য Digital Marketing এর খরচ কেমন হতে পারে?

আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা নতুন শুরু করে থাকেন।  তাহলে শুরুতেই অনেক গুলা পদ্ধতি একসাথে ফলো করার দরকার নেই, ফেসবুক মার্কেটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন।

ফেসবুকে এঙ্গেজমেন্ট অ্যাড রান করে দেখতে পারেন। যে আপনার পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ কেমন, প্রোডাক্ট সম্মন্ধে কি রকম প্রশ্ন করে।

অথবা আপনি চায়লে ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন, নিজের একটি বিজন্যাস একাউন্ট বা গ্রুপ তৈরি করে। পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রুপে গিয়ে আপনার পণ্যের পাবলিসিটি করে দেখতে পারেন যে মানুষ আসলে আপনার প্রডাক্ট সম্মন্ধে কিরকম রেসপন্স করে। বিভিন্ন প্রডাক্ট সার্ভিস রিলেটেড গ্রুপে ফ্রি মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার পণ্যের ভ্যালু এড করতে পারেন। এর দ্বারা আপনার ব্যবসার সাথে মানুষের এঙ্গেজমেন্ট তৈরি হবে।

কোত্থেকে ভালোমানের ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস নিতে পারি?

দেশে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি রয়েছে। আপনি যদি ঢাকায় থাকেন তাহলে সেখানে এমন অনেক এজেন্সি পেয়ে যাবেন, এছাড়াও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার এর সহযোগিতা নিতে পারেন।

অথবা SERP Thinker ডিজিটাল মার্কেটিং এজন্সি থেকেও সেবা নিতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত যেকোন বিষয়ে সঠিক পরামর্শ পাবেন। 

যদি কোন বিষয়ে আপনার পরামর্শের প্রয়োজন হয় তাহলে Contact us বাটনে ক্লিক করে সেখানে দেয়া ফর্ম ফিলাপ করে সাবমিট করুন। পরবর্তিতে অফিস থেকে কলের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে।

উপংহারঃ

আজকের সম্পূর্ন আলোচনায় ডিজিটালা মার্কেটিং এর সুবিধা, প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ত্ব সম্পর্কে একটি উপযুক্ত তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ভালো ধারণা পেয়েছেন।

আমাদের অন্যান্য সার্ভিস সম্মন্ধে জানতে ভিজিট করুন। SERP Thinker.com